নামের আগে কোনো শেখ নেই এবং জন্মও কোনো ধনী পরিবারে হয়নি, তবু আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শীর্ষ ধনকুবেরদের মধ্যে একজন তিনি।কাতার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করা আল-খেলাইফি টেনিসে বেশ ভালো নাম কামিয়েছিলেন। তিনি এটিপি ট্যুরের দুই আসরে অংশ নিয়েছিলেন।টেনিস খেলার সুবাদে কাতারের আমির শেখ তামিমের সাথে বন্ধুত্ব।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী দেশ কাতারের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সংস্থার প্রধান শেখ তামিম তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বন্ধু আল-খেলাইফিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন। ২০০৮ সালে কাতার টেনিস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আল-খেলাইফিকে।এরপর এশিয়ান টেনিস ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিন বছর পর তিনি কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। এই প্রতিষ্ঠানই পরে পিএসজি’র সব শেয়ার কিনে নেয় আর ক্লাবের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব বুঝে নেন আল-খেলাইফি।যে ব্যক্তি কিনা নেইমারকে অপহরণ করার মতোই পিএসজি’তে নিয়ে আসেন এবং তাকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় বানিয়েছেন।ডনারোমাকে কনভিন্স করে মিলান থেকে প্যারিস আনেন এবং তিনি রামোস এবং মেসিকে এক দলে সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।পিএসজি’র সফল ও শ্রেষ্ঠ সভাপতি হিসেবে নাসের আল খেলাইফি তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সেরা পিএসজি চুক্তিটি করলেন লিও মেসির সাথে বর্তমান ও চিরকালের জন্য!ইউরোপীয় ফুটবলের দলবদলের ত্রাস হিসেবে অভিহিত করা হয় ইউরোপের মিডিয়ার কাছে ‘রহস্যমানব’ কাতারের দফতরবিহীন এই মন্ত্রীকে।
কাতারের ক্রীড়া জগতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি আল-খেলাইফি ক্রমেই ব্যবসা প্রসারে মনোযোগী হন, যার প্রথম ধাপ সম্প্রচার ব্যবসা।‘আল-জাজিরা স্পোর্ট’কে অধিগ্রহণ করে ‘বিইন স্পোর্ট’-এ পরিবর্তন করল ‘বিইন মিডিয়া গ্রুপ’, এবং এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পান আল খেলাইফি।