পশ্চিম তীরে নিরাপত্তাবেষ্টনীর কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর পশ্চিম তীরের তেকোয়া এলাকায় এক ইসরায়েলি নাগরিকের গুলিতে ছুরিধারী এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে। ওই কিশোর একটি ইহুদি বসতিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পশ্চিম তীরে আলাদা এ দুটি ঘটনায় মোট দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। খবর রয়টার্সের।
ইলাদ শহরে তিন ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইসরায়েলি বাহিনী দুই ফিলিস্তিনিকে আটক করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় নতুন করে হত্যার ঘটনা ঘটল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গতকাল তুলকারিম এলাকায় সেনারা দেখতে পান, এক সন্দেহভাজন অবৈধভাবে পশ্চিম তীরের নিরাপত্তাবেষ্টনী টপকানোর চেষ্টা করছেন। পরে তাঁকে গুলি করে ইসরায়েলি বাহিনী।
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, সন্দেহভাজনকে থামাতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাজা গুলি ব্যবহার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
এর কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পশ্চিম তীরের তেকোয়া বসতিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ছুরিধারী এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করেন এক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ১৭ বছর বয়সী ওই ফিলিস্তিনি কিশোর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
গতকাল ইসরায়েলি পুলিশ বলেছে, জেরুজালেমের ওল্ড সিটির কাছে তাদের এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন এক ফিলিস্তিনি। ওই ফিলিস্তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দুজনকেই আহত অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইলাদে তিনজনকে কুঠারের আঘাতে হত্যার ঘটনায় পলাতক সন্দেহভাজনদের ধরতে তিন দিন ধরে অভিযান চালায় পুলিশ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, গতকাল ইলাদের কাছের একটি জঙ্গল থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সন্দেহভাজনরা পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছের একটি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।