ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া উত্তেজনার মধ্যে ইসরাইলে ৫০০শ’র অধিক রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইযাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেড। এতে অন্তত তিনজন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। এছাড়া, কয়েকটি অবৈধ বাড়ি ধ্বংস এবং একটি তেল শোধনাগারে আগুন ধরে গেছে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
হামাসের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরাইলের আশদোদ এবং আশকেলন শহরে হামাস ব্যাপকভাবে রকেট হামলা চালিয়েছে। মাত্র পাঁচ মিনিটে এই দুই শহরে ১৩৭টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘দুই শহরের বিরুদ্ধে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছি আমরা।’
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজা থেকে অন্তত ৫০০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০০টি রকেট ঠেকিয়ে দিয়েছে দেশটির অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম।
আজ জাজিরা জানিয়েছে, আয়রন ডোম অতিক্রম করে একটি রকেট ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের হোলান এলাকায় আঘাত হেনেছে। তেল আবিবে একজন নারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এসময় সাইরেনের শব্দে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাতে থাকেন।
গত শুক্রবার জুম’আর নামাজের পর থেকে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইসরাইলি পুলিশ এবং সেনাবাহিনী তাণ্ডব চালায়। এরপর দুই পক্ষের সংঘর্ষে বহু হতাহত এবং বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। শত শত ফিলিস্তিনিকে বন্দি করে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় আল আকসা মসজিদ থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেয় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রামীরা। এই আল্টিমেটাম আমলে না নেওয়ায় সন্ধ্যা ৬টার পরপরই গাজা থেকে অধিকৃত জেরুজালেম লক্ষ করে সাতটি রকেট ছোড়া হয়। এর জেরে গাজার ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। গাজা থেকেও ধাপে ধাপে রকেট ছোড়া হয় ইসরাইলে বিভিন্ন শহরে।