কাতারে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা পরিস্থিতি। মূলত গণহারে টিকা প্রয়োগের কারণে প্রতিদিন কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্য মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনেছে কাতার। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। যদিও প্রথম দিকে ব্যাপক সংক্রমণের কারণে জনসংখ্যার গড় অনুপাতে আক্রান্তের দিক দিয়ে সব দেশকে ছাড়িয়ে যায় দেশটি। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ ও গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কারণে বর্তমানে একেবারে নিয়ন্ত্রণে কোভিড পরিস্থিতি।
দেশটিতে এরই মধ্যে স্থানীয় নাগরিক ও অভিবাসী মিলিয়ে ৭২ শতাংশ মানুষকে ভ্যা’কসিন দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কাতারে চালু করা হয়েছে বিশ্বের বৃহৎ করোনা টিকাদান কেন্দ্র। যেখান থেকে প্রতিদিন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাসীরা বলেন, আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি। পরিস্থিতি ধিরে ধিরে স্বাভাবিক হচ্ছে। কাতার সরকারকে ধন্যবাদ প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও টিকার ব্যবস্থা করার জন্য।
কাতারের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে দিকে থাকায়, মুসলিম প্রধান দেশ পাকিস্তানকে ১০ লাখ ক’রোনা ভ্যা’কসিনের ডো’জ উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে কাতারের কাছ থেকে ভ্যাকসিন আদায় করে নিতে পারে বাংলাদেশও।